০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল বাংলাদেশ

সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল বাংলাদেশ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
বিজিবির নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে আর কে-৩ কোর্সার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) মোতায়েন। ছবি : কালবেলা
বিজিবির নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে আর কে-৩ কোর্সার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) মোতায়েন। ছবি : কালবেলা

সীমান্ত নিরাপত্তায় টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘুমধুম সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে আর কে-৩ কোর্সার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের পর অত্যাধুনিক এই অস্ত্রটি মোতায়েন করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিজিবির ঘুমধুম সীমান্ত চৌকিসহ আরও বেশ কয়েকটি চৌকিতে এটিজিএম মোতায়েন করা হয়েছে। এটিজিএম হলো ইউক্রেনের তৈরি হালকা বহনযোগ্য ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি দিয়ে স্থির ও চলমান সাঁজোয়া যান এমনকি হেলিকপ্টারেও আক্রমণ করা যায়। ২০০০ সালে ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি তৈরি হয়।

সীমান্তে অত্যাধুনিক এই অস্ত্রটি মোতায়েনে সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি বিজিবির আধুনিকায়নে আরও এক ধাপ উন্নতি হলো।

৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ে। এতে দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়। সীমান্তের ওপারে হেলিকপ্টার থেকেও ব্যাপক গুলি ও বোমা বর্ষণ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদও জানায়। তুমব্রু সীমান্তে গতকাল সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা সীমান্ত থেকে পাওয়া দুটি রকেট লাঞ্চার বোম নিষ্ক্রিয় করেছে। বিকট শব্দে এগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এসময় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তের উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করা মিয়ানমার বিজিপির ১৫৮ সদস্যকে এখনো সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে দুয়েক দিনের মধ্যে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সীমান্তে গোলাগুলি না হওয়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেশিভাগ লোকজনই এখন ঘরে ফিরেছে। তবে যে ৫টি স্কুল বন্ধ করা হয়েছিল সেগুলো এখনোও খোলা হয়নি।

পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে গেলে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরই বাংলাদেশ অবস্থানকারী মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের সে দেশে জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019